আজিমপুরের দুর্দান্ত যোদ্ধারা, চতুর্থ পর্ব
সকালে ঘুম থেকে উঠে বেশ ফুরফুরে লাগল। রাতে ভাল ঘুম হয়েছে , ফলে গত দুদিনের ক্লান্তি অনেকটা কেটে গেছে। গত রাতে ঘুমানোর আগে ভাবছিলাম আমাদের সদ্য দখল করা পিস্তলটা যেটা ক্যাপ্টেন রানা নিতে চাননি সেটা কী করা যায় ? এ পিস্তলটা সবার কাছেই লোভনীয়। আমারও খুব লোভ হচ্ছিল পিস্তলটা নিজে রাখার। কিন্তু আমি দলনেতা , ইতোমধ্যে একটি একে-৪৭ নিয়েছি , এখন যদি আবার পিস্তলটাও দখল করি তাহলে সেটা ভাল দেখায় না। কাজেই চিন্তা করতে শুরু করলাম পিস্তলটা কাকে দেয়া যায়। জিপে আক্রমণে র সময় সবচেয়ে বীরত্ব কে দেখিয়েছিল ? নিঃসন্দেহে সে ছিল কবীর। কবীর পরিখা থেকে ঊঠে জিপকে আক্রমণ করার পরই অন্যরা তাকে অনুসরণ করি। সে জন্য মনে হলো যে পিস্তলটা কবীরকেই দেয়া উচিৎ। কবীরকে একটা একে-৪৭ দেয়া যেত , কিন্তু তার প্রধান অস্ত্র লাইট-মেশিনগান , ফলে তার পক্ষে একে-৪৭ ব্যবহার করা সম্ভব না। সকালের নাস্তা শেষ হলে আমি তাঁবুতে সবাইকে গোল হয়ে বসতে বললাম। সবাই বসলে আমি বলতে শুরু করলাম , “ আমাদের গত অভিযান খুবই নিপুণ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে , এবং আমাদের দলের উপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠু ভাবে পালন করতে পেরেছি। সে জন্য আমি সবাইকে ধন্যব...